এনআইডিতেও জালিয়াতি সাবরিনার
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েও জালিয়াতি করেছেন জেকেজিকাণ্ডে কারাবন্দি ডা. সাবরিনা। ভিন্ন তথ্য দিয়ে তৈরি করে নিয়েছিলেন দুটি এনআইডি। আইন অনুযায়ী, দ্বৈত ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। দুদক চিঠি দেয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে এই কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন ইসির কাছে ব্যাখ্যা চায়।
এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দুদকের চিঠি আমরা পেয়েছি। জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়টি দেখে কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ। আমরা সেই বিভাগকে চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলেছি। আজকের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। তারপর আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো। এর আগে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয়, এর সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর যদি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য গোপন করে দুই এলাকায় ভোটার হয়েছেন এবং দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্রই বর্তমানে সচল। তার একটি এনআইডিতে জন্মতারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটো এনআইডিতে রয়েছে আলাদা আলাদা স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা।
কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণার দায়ে বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী।