প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ বাড়ছে, তরুণদের আগ্রহ নতুন অ্যাপে
দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের সংকটকালে ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ বেড়েছে। এরমধ্যে এগিয়ে আছে ওটিটি (ওভার দ্য টপ) সেবা বা যোগাযোগভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপস। মেসেঞ্জার সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেও (ফেসবুকের সঙ্গে থাকায়) জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো (আএমও) ইত্যাদি। অ্যাপসের ব্যবহারে তরুণরাও এখন অনেক এগিয়ে। তাদের আগ্রহ নতুন নতুন অ্যাপসে। ফলে এই সময়ে হাউস পার্টি, রিং আইডি, ব্রিলিয়ান্ট, কফি আড্ডার মতো অ্যাপগুলো চলে আসছে শীর্ষ তালিকায়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এই তথ্য জানা গেছে।
করোনা সংকট শুরুর পর দেশে মোবাইল ফোনে কথা বলার হার কমে যায়। বেড়ে যায় ডাটার (ইন্টারনেট) ব্যবহার। মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সূত্রে জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে মোবাইলে ভয়েস কল ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। অন্যদিকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ডাটার ব্যবহার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপসের ব্যবহার বাড়ায় ভয়েস কলের পরিমাণ কমেছে।
আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে এক হাজার ৭৫০ থেকে এক হাজার ৮০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এরমধ্যে ৭৫০ জিবিপিএসের বেশি ব্যবহার হচ্ছে মোবাইলে। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে।
অন্যদিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী সাড়ে তিন কোটি। আর ভাইবার ব্যবহার করে দেড় কোটি গ্রাহক। অন্যদিকে ফেসবুকের বৈধ আইডির সংখ্যা সাড়ে তিন কোটির কিছু বেশি। সেই হিসাবে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।