স্বপ্নের দূরত্ব মাত্র ১৫০ মিটার, কাল বসতে পারে শেষ স্প্যান
পদ্মা সেতুতে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর শেষ স্প্যানটি বসলেই স্বপ্ন স্পর্শ করবে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের দূরত্ব মাত্র ১৫০ মিটার। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত এক সুতোয় গেঁথে দৃষ্টি সীমায় পূর্ণ রূপে ভেসে উঠবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসাতে প্রস্তুত প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিন সবকিছু ঠিক থাকলে লেখা হবে নতুন ইতিহাস। চ্যালেঞ্জ জয়ের অদম্য স্পৃহাই যে হাতের মুঠোয় সাফল্য এনে দিয়েছে তারও প্রমাণ মিলবে।
তবে এজন্য বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বিশ্ব দেখছে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষম বাংলাদেশ।
জানা গেছে, স্প্যানগুলোর উপর সড়ক ও ট্রেন লাইন (স্ল্যাব) বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনার মধ্যেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব কাজ শেষ হয়েছে ৯১ শতাংশ।
সার্বিকভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাকি অংশ নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা রয়েছে।
যদিও মহামারীর প্রভাবসহ নানা কারণে ওই সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালের মার্চে গাড়ি চলাচল শুরুর জন্য খুলে দেয়ার পরিকল্পনা আছে সেতু কর্তৃপক্ষের।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলার ও ৪১টি স্প্যান যুক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪২টি পিলার ও ৪০টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ। বাকি একটি স্প্যান।
বাকি এ ৪১তম স্প্যান ১০ ডিসেম্বর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। এটি বসলেই মূল কাঠামোর কাজ শেষ হবে। এরপর কাঠামোর উপর বসবে অন্যান্য স্থাপনা।